জেনে নিন মানকচুর ঔষধি ব্যবহার
মানকচু বহুবর্ষজীবী গুল্ম। কন্দ থেকে নূতন গাছ জন্মে। এর কাণ্ড দৃঢ় ও ১-৩মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কন্দ থেকে পাতা বের হয়। পাতার বোঁটা ত্রিভুজাকৃতি ৬-১০০ সেন্টি মিটার লম্বা হয়ে থাকে। কন্দের ব্যাস ১৪-১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ফুল গন্ধ স্পেডিক্স এবং স্পেথ ২৩ সেন্টিমিটার এর মতো লম্বা হয়।গ্রামাঞ্চলের দিকে মানকচু চোখে পড়ে। কিছু কচু আছে, যা খেলে গলা চুলকাতে পারে। তাই মানকচু ঠিকমতো সেদ্ধ করে খেতে হবে। মানকচুকে ঔষধি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, কচু খেলে শরীর পুষ্ট হয় এবং শুক্র বৃদ্ধি পায়।আজকের লেখায় মুলত আমরা আপনাদের জানাবো মানকচুর কিছু ঔষধি ব্যবহার ।
আসুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মানকচুর ঔষধি ব্যবহারঃ
১) ফুলা ও ব্যাথা স্থানে পাতা গরম করে সেঁক দিলে ব্যাথা সেরে যাবে।
২) মানকচুর ক্ষার সৈন্ধব লবণ ও সরিষা তেলের সঙ্গে জিহব্বা ঘষলে নিরাময় হয়।
৩) কচুর শাকে প্রচুর লৌহজ ভিটামিন আছে যা রক্তবৃদ্ধিতে সহায়ক।
৪) প্লীহা উদরজনিত সমস্যা ৬ গ্রাম পাতা ১২০ মি.লি, গরুর দুধসহ সেবনে নিরাময় হয়।
৫) ১০ গ্রাম মানকচু চূর্ণ ১ কাপ গরম দুধের সঙ্গে সেবন করলে জন্ডিস আরোগ্য হয়।
এছাড়াও মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ানোর প্রথা এ দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।